বেলা ফুরাবার আগে - বেলা ফুরাবার বয়স বই / বেলা ফুরাবার আগে - আরিফ আযাদ / বই
বেলা ফুরাবার আগে - ইসলামিক বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
বর্তমান সময়ের তুলুম জনপ্রিয় একটি ইসলামিক বই। বাংলাদেশে ইসলামিক বইয়ের জগতে জনপ্রিয় উদীয়মান তরুণ লেখক আরিফ আজাদ। ‘বেলা ফুরাবার আগে’ বইটি আরিফ আজাদের লেখা এবছরের বইমেলায় প্রকাশিত নতুন বই।
আরিফ আজাদ ১৯৯০ সালের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্মগ্রহন করেছেন। চট্টগ্রামের জিলা স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তিনি মূলত নাস্তিকতাবাদের বিরুদ্ধে এবং ইসলামের পক্ষে লিখে থাকেন। যুক্তি দিয়ে লেখার জন্যই জন্য তাঁর বই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অধিকাংশ পাঠক মনে করেন।
আলহামদুলিল্লাহ্! অবশেষে! বেলা ফুরাবার আগে...
লেখক আরিফ আজাদ বইটি সম্পর্কে খুব বেশিকিছু সম্ভবত কোথাও বলেনি। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘বইটি কি নিয়ে?’ বইটি আসলে লেখক আরিফ আজাদ নিজেকে নিয়ে লিখেছেন। তবে না,এটা লেখকের আত্মজীবনী টাইপ কিছু নয়। এই বইটা আরিফ আজাদের জীবনের এমনকিছু অভিজ্ঞতার সমাহার, যে অভিজ্ঞতাগুলো তিনি সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতে অর্জন করেছেন,সেগুলো নিয়েই বইটি।
বইটি নিয়ে আরিফ আজাদ বলেছেন-
আমার অনেকদিনের স্বপ্ন আমি যুবকদের নিয়ে কাজ করবো। এদেশের যে বিশাল তরুণসমাজ, যারা দ্বীনের পথে আসার জন্য মুখিয়ে আছে, কিন্তু সঠিক নির্দেশনা না পাওয়ায়, কিংবা নিজের মধ্যে জিইয়ে থাকা জাহিলিয়াতকে তাড়িয়ে, নতুন ভোরের সোনারঙা রোদে নিজেকে আরেকবার রাঙিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় যে দুর্বার তারুণ্য অপেক্ষমান, তাদের সাথে আমি একান্তে, নিবিড় ভালোবাসায় গল্প করবো। আমার সেই গল্পের একটি খসড়ার নাম, ‘বেলা ফুরাবার আগে’।
দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমান যে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে। অথবা, দ্বীনে আসার জন্য যাদের হৃদয়ে নিদারুন ছটফটানি আছে, কিন্তু বুঝতে পারছেনা কিভাবে, কোন উপায়ে তারা স্রেফ ‘শুরু’ করবে, তাদের জন্যই এই বই। এই বইটাতে আমি আমাকে নিয়ে কথা বলেছি। আমার ভুল নিয়ে, সেই ভুল থেকে কিভাবে বের হয়েছি, তা নিয়ে। একজন যুবক হয়ে, অন্যসকল যুবকদের জন্য আমি এই বইটিকে দ্বীনে ফেরার জন্য একটা ছোট্ট গাইডলাইন হিশেবে দাঁড় করিয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ্।
এই বইতে আমি এমনকিছু অধ্যায় রেখেছি, যা হয়তো আমাদের নিত্যদিনকার জীবনে, কোন না কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক। হয়তো আমরা সেগুলো নিয়ে এক কঠোর, কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত, কিংবা সেই সংগ্রামে আমরা একেবারে পর্যদুস্ত। যেমন, ‘মন খারাপের দিনে’ অধ্যায়টিতে আমি আমাদের জীবনের কিছু হতাশা নিয়ে কথা বলেছি। জীবনে বারবার আমরা হতাশ হয়ে যাই।
এমন মন খারাপের দিনে, ইসলাম আমাদের জন্য যে সুন্দর আর চমৎকার দিকনির্দেশনা রেখেছে, তা কি আমরা জানি? অন্য একটি অধ্যায়ের নাম, ‘আমার এতো দুঃখ কেনো’। দুঃখ তো আমাদের সকলের জীবনে, কম-বেশি সবারই আছে। কিন্তু, মাঝে মাঝে আমরা বলে বসি, ‘আমার সাথেই কেনো বারবার এমন হয়?’ কেনো হয় সেই কারণের সন্ধান আমি করেছি এই অধ্যায়টাতে, এবং ইসলামের আলোকে, আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি এর সমাধান।
আমরা ফযরের সালাতে জাগতে পারিনা। কি বিশাল এক ব্যর্থতা এটা আমাদের জন্য। ফযরের সালাত নিয়ে এই বইতে থাকছে বিশাল এক অধ্যায়, নাম- ‘আমি হবো সকাল বেলার পাখি’। খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুবকদের জন্য, যারা হারাম রিলেশানশীপে জড়িয়ে, তাদের জন্য এই বইতে থাকছে সবচেয়ে বড় অধ্যায়টাই। নাম- ‘আমরা তো স্রেফ বন্ধু কেবল’। আর, আমরা যারা সালাতে অমনোযোগি, সালাতে দাঁড়ালেই যাদের মন আকাশ-পাতাল ঘুরাঘুরি করে, তাদের জন্য এই বইতে দাওয়া হিশেবে আছে, ‘সালাতে আমার মন বসেনা’ অধ্যায়।
আমি বিশাল একটা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি, ইন শা আল্লাহ। সেই পরিবর্তনের পথে, আমার খুব সামান্য অবদান বইটা।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে আরিফ আজাদ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামিক লেখক। সেকারণেই এখন পর্যন্ত তাঁর বইগুলো জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছে। সর্বশেষ প্রকাশিত বেলা ফুরাবার আগে বইটিও রকমারি ডট কমে হাজারো প্রি-অর্ডার হয়েছে। এছাড়া অনেককেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বইটি নিয়ে প্রশংসা করে পোস্ট করতে দেখা গেছে।
বইটির মূল কেন্দ্রে আছে যুবক শ্রেনী। যদিও লেখকের মতে, বেলা ফুরাবার আগে বইটি সকল শ্রেনীর মানুষের জন্যই। এই ছোট জীবনে অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়া, ছোট ছোট দুঃখ কষ্টতেই সৃষ্টিকর্তাকে ভুলতে বসার মতো বিষয়গুলো নিয়ে লেখা এই বইটি।
আশাকরি, বেলা ফুরাবার আগে অ্যাপলিকেশনটি পড়ে আপনারা প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক উপকৃত হবেন এবং আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এ্যাপটি শেয়ার করে তাদেরকে ও পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
আপনার পজিটিভ রেটিং (৫ স্টার,রিভিউ) আমাদের অনুপ্রেরণা করে এবং অন্য ইউজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
বিঃ দ্রঃ এই অ্যাপ সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আমাদের একান্ত কাম্য। ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাঠানো অভিমতের ভিত্তিতেই এই অ্যাপের উন্নয়ন ও সংশোধনের ব্যাবস্থা করা হবে। (ইনশাআল্লাহ)