เราพูดภาษาอังกฤษตอนแรกที่เขามาถึงเบงกอลมีอะไร
স্কুলজীবনে আমি আমার ইংরেজি টিচারদের খুব প্রিয় ছিলাম। এতটাই প্রিয় যে, যেই ইংরেজি স্যারের কাছে কোচিং করতাম তাঁর ব্যাচের নামই ছিল আমার নামে। এটা আমার জন্য বেশ বড়সড় এক অর্জন ছিল। কেননা, সাধারণত স্যার-ম্যামদের কোচিং এর ব্যাচ এর নাম হতো কম্বাইন্ড ফার্স্ট-সেকেন্ড যারা হতো, তাদের নামে। আমি বরাবরই মিডিওকার ছিলাম এবং মজার বিষয়, এই মিডিওকার হওয়াটাই ছিল আমার এই “অর্জন” এর পিছনের মূল কারণ।
অন্য সব বিষয়ে মোটামুটি রেজাল্ট করা একজন ছাত্রী ইংরেজি সবসময় কীভাবে এতো ভাল করতো, তাঁরা ভেবেই পেতেন না। তাঁরা ধরেই নিতেন, আমি অন্য সব পড়া বাদ দিয়ে সারাদিন ইংরেজি নিয়ে বসে থাকতাম। এবং এ কারণেই আমি তাঁদের খুব প্রিয় ছিলাম।
আসল কাহিনী কিন্তু ভিন্ন। যেহেতু আমি খুবই অলস একজন মানুষ ছিলাম (এখনো আছি), আমার এতো কষ্ট করে পড়াশুনা করতে ভালো লাগতো না। ইংরেজি আর অঙ্কটা মূলত বোঝার বিষয় ছিল। বাসায় খুব একটা পড়া লাগতো না। তাই, পার পেয়ে যেতাম ।
তো এই ইংরেজিতে “খুব ভাল” আমার খুব চমৎকার ইংরেজি বলার কথা, তাই না? দেশের নামকরা স্কুল-কলেজে, সবচেয়ে ভাল ইংরেজি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে পড়ে, আমি একটুও না আটকে অনর্গল ইংরেজি বলে যাবো, এটাই তো হবার কথা। কিন্তু বাস্তবে কিন্তু তা হয় না।
পরীক্ষার খাতায় হাইয়েস্ট মার্কস পাওয়ার মতো ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্ট হওয়ার পথ কিন্তু এতোটা মসৃণ ছিল না। কারণটা খুব সহজ। আমরা যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়ি, তারা গ্রামার, ভোকাবুলারিতে খুব ভাল হলেও; যখন ইংরেজিতে কথা বলতে হয়, তখনই আটকে যাই। মাথায় সবকিছু খুব সুন্দর গুছিয়ে রাখা, লিখতে দিলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যেতে পারবো। কিন্তু বলতে গেলেই, মাথাটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মুখ খুললে হয়তো আওয়াজই বের হচ্ছে না।
তো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল, কারো সাথে ইংরেজিতে কথা বলা প্র্যাকটিস করা। যদি সে নিজে ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্ট হয়, তাহলে তো খুব ভাল। না হলেও ক্ষতি নেই। চর্চা করাটাই আসল।
কিন্তু, “ইংরেজিতে আমি খুব ভাল” এই ধারণা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ায় আমি কারো কাছে সাহায্য চাইলাম না। আমি ঠিক করলাম আমি একা একাই ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলায় পারদর্শী হব এবং হলামও। কীভাবে হলাম সেই উপায়গুলো নিয়েই আজকের আয়োজন।