Women caramananda
সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে, রতিকৌশলের সঙ্গে সঙ্গমে আনন্দলাভের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ রয়েছে। প্রাচীন কামসাহিত্যে তো বটেই, আধুনিক যৌনবিজ্ঞানের বইগুলোতে পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে রীতিমত আলোচনা করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সঙ্গমে নারী থাকে নিষ্ক্রিয়—কাজেই তাঁকে উদ্দীপিত এবং তৃপ্ত করার কৌশলগুলো পুরুষকেই খুঁজে বের করতে হবে। সেজন্য দেহমিলনকালে একদিকে যেমন নারীদেহে বিবিধ শৃঙ্গার প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়ছে, ঠিক তেমনি বহুকাল যাবত সাধারণ মানুষ করে এসেছে, মিলনের সময় বুদ্ধি দ্বারা নারীকে চরমানন্দ দান করা সম্ভব। এইভাবে সে বিশ্বাস করেছে, লিঙ্গ যত বৃহদাকৃতির হবে, নারী তত বেশি তৃপ্তি পাবে। এগুলির বিশদ আলোচনাই হবে এই প্রবন্ধের লক্ষ্য।
সঙ্গম নয়, শৃঙ্গারের প্রতি কোন কোন নারীর অস্বাভাবিক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। বাস্তবিকপক্ষে, কেবল শৃঙ্গার প্রয়োগের দ্বারাই এদের চরমানন্দ দান সম্ভব। সঙ্গমটা এদের কাছে গৌণ, মুখ্য হল শৃঙ্গার। নীচের এই চিঠিটা ব্যাপারটা বুঝতে সাহায্য করবেঃ
আমার স্ত্রীর বয়স ৩১, এম. এ. পাশ। স্বাস্থ্য মোটামুটি খারাপ নয়। উচ্চতা ৫ ফুট। লক্ষ্য করলে বেশ বোঝা যায় যে, তাঁর কোমর থেকে নীচে অবধি যতটা পুষ্ট ও সুন্দর, উপরাংশ তেমন নয়। বিশেষ করে তাঁর স্তনদুটি অনুন্নত, হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়। তিনি ৩০ মাপের ব্রেসিয়ার পরিধান করেন। স্তনদুটি অনুন্নত হওয়ায় তাঁর মনে একটা আক্ষেপ আছে, আর আমারও ইচ্ছা হয় যদি কোনভাবে তাঁর স্তনদুটি উন্নত হয়!